ব্যাংক স্টেটমেন্টে কত টাকা রাখলে ভিসা পাওয়া সহজ হয়?

ভিসার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট — কারণ এটা দিয়েই ভিসা অফিসার বোঝেন, আপনি ভ্রমণের খরচ চালাতে পারবেন কিনা এবং দেশ থেকে ফেরার সম্ভাবনা আছে কিনা। তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এমাউন্ট নির্ভর করে কোন দেশে ভিসা করছেন, কত দিনের জন্য এবং কী ধরনের ভিসা (ট্যুরিস্ট/স্টুডেন্ট/বিজনেস) — তার উপর।

আমি একটা গড় ধারণা দিচ্ছি:


📌 সাধারণ ভিসার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট এমাউন্ট (২০২৫)

✈️ ট্যুরিস্ট ভিসা

দেশ মিনিমাম ব্যালেন্স (প্রতি ব্যক্তি) সময়কাল
ভারত ৫০,০০০–৭০,০০০ টাকা ১ মাস
মালদ্বীপ/নেপাল ৪০,০০০–৬০,০০০ টাকা ১ মাস
মালয়েশিয়া ১,৫০,০০০–২,০০,০০০ টাকা ৩ মাস
সিঙ্গাপুর ১,৫০,০০০–২,৫০,০০০ টাকা ৩ মাস
দুবাই ২,০০,০০০–৩,০০,০০০ টাকা ৩-৬ মাস
ইউরোপ (শেঙ্গেন) ৩,৫০,০০০–৫,০০,০০০ টাকা ৬ মাস
কানাডা (ট্যুরিস্ট) ৫,০০,০০০–৭,০০,০০০ টাকা ৬ মাস

🎓 স্টুডেন্ট ভিসা

দেশ মিনিমাম ব্যালেন্স সময়কাল
ভারত কোর্স ফি + ১,৫০,০০০–২,০০,০০০ টাকা ৬ মাস
মালয়েশিয়া ৩,০০,০০০+ টাকা ৬ মাস
কানাডা কমপক্ষে ১৫-২০ লাখ টাকা (ব্যাংক স্টেটমেন্ট + স্পন্সর প্রমাণ সহ) ৬ মাস
ইউকে কোর্স ফি + ১০-১৫ লাখ টাকা ৬ মাস

📌 গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

✔️ ব্যাংক স্টেটমেন্ট যেন চলমান হয় — হঠাৎ বড় অংকের টাকা জমা দেবেন না। ইমিগ্রেশন সেটা ধরে ফেলবে।
✔️ অ্যাকাউন্ট ট্রানজেকশন অ্যাকটিভ রাখুন
✔️ ফান্ডের উৎস নিশ্চিত করুন — বড় অংকের টাকা থাকলে তার ইনকাম সোর্স দেখাতে হবে।
✔️ স্পন্সর থাকলে তার ইনকাম প্রমাণ দিন
✔️ ব্যাংক সোলভেন্স সার্টিফিকেট নিতে পারেন — অনেক দূতাবাস এটা চায়।


📌 স্পেশাল হ্যাক:

যদি হঠাৎ টাকা জমা দিতে হয়, তাহলে ৩-৪ মাস আগে থেকে ছোট ছোট পরিমাণ করে টাকা জমা দিন। একেবারে একদিনে ৩ লাখ দিলে সন্দেহ হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Free Traffic Exchange
Free Traffic Exchange